Thursday, December 27, 2018

99 Design মার্কেটপ্লেসে বিজয়ী হওয়ার কিছু মোক্ষম উপায়


- সাব্বির মাহমুদ

99 Design হলো এমন একটি মার্কেট প্লেস যেখানে শুধু মাত্র এক্সপার্ট Graphic Designer গণই রাজত্ব করতে পারে। এই মার্কেট প্লেসের সবগুলো কাজই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য,  অন্য কোন ক্যাটাগরির কাজ এখানে পাওয়া যায় না।

তা্ই এটা বলা যায় যে ৯৯ ডিজাইন মার্কেট প্লেস গ্রাফিক্স ডিজাইনাদের জন্য স্বতন্ত্র একটি মার্কেট প্লেস। প্রথমেই একটি কথা বলে রাখা ভালো যে,এই মার্কেট প্লেসের কাজের ধরণ অন্যান্য মার্কেট প্লেস এর মত না,  পুরোপুরি ব্যতীক্রমধর্মী মার্কেট প্লেস এটি। এখানে অাপনি ফ্রীল্যান্সার কিন্তু সেই সাথে একজন প্রতিযোগী । এই মার্কেট প্লেস এ অাপনাকে বিড করার প্রয়োজন হবে না। অাপনাকে বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের উপর প্রতিযোগীতা করতে হবে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সাথে । কিন্তু এই মার্কেট প্লেসটি লগো ডিজাইনারদের জন্য সবচেয়ে বেশী উপযোগী। কেননা সবচেয়ে বেশি লগো ডিজাইনের উপর কনটেষ্ট হয়ে থাকে । এছাড়াও বিভিন্ন  ধরনের গ্রাফিক্স কনটেষ্ট গুলোও নিয়মিত এই মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে সর্ম্পূণ্য হচ্ছে।
99 Design Marketplace এ বিজয়ী হওয়ার প্রধান প্রধান টিপস এবং টিক্স জেনে নিন:

যখন Contest শুরু হবে তখনি অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করুন :

প্রথম দিগের কনটেষ্টে অংশগহণ করলে অাপনি বায়ারের ক্রিয়েটিভ লুকের মধ্য থাকবেন। কারণ পরে যারা কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে তারা বেশি ভাগই অন্যের কনটেস্ট কপি করার চেষ্টা করে । অার তা যতই সুন্দর হোক বায়ার প্রথম রিভিউ করা ডিজাইনারদের বেশি প্রাধান্য দেয়। সেই সাথে অারেকটি বেনিভিট হলো বায়ার একটিভ থাকে এবং দ্রুত বিবেচনা করার মাধ্যমে বায়ার তার কাজের রেটিং দেয়। কিন্তু মাঝের কাজগুলি বা শেষের কাজগুলি বায়ার অতটা গুরুত্ব দেয় না । তা্ই কনটেষ্টগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায় মাঝের ডিজাইন ও শেষের দিকের ডিজাইনারদের কাজের রিভিউ খুব কম থাকে।

গ্যারান্টিযুক্ত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ গুলোতে অংশগ্রহণ করা :

অনেক সময় দেখা যায় গ্যারান্টি ছাড়া কাজ করলে বায়ার কাজের প্রতিযোগীতা শুরুর অাগে প্রথমেই ডিজাইনের প্রাপ্ত অর্থ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে এই ধরনের প্রতিযোগীতা শুরু করে। এতে করে অনেকেই এখানে তাদের ডিজাইন জমা দিয়ে অংশগ্রহণ করে পরে বায়ার তার পছন্দ বেছে নিয়ে প্রতিযোগীতা বন্ধ করে দেয় এতে করে ডিজাইনরা ভুক্তভোগী হয়। ৯৯ ডিজাইন কর্তৃপক্ষ গ্যারান্টি ছাড়া কাজের কোন দ্বায় ভার নেয় না। কিন্তু গ্যারান্টি যুক্ত কনটেষ্ট গুলোতে বায়ার প্রতিয়োগীতা শুরু করে অবশ্যই একজনকে বিজয়ী করার বাধ্যতা থাকে । এবং পূর্বেই প্রতিযোগীতা শুরুর করার অর্থ কর্তৃপক্ষকে প্রদান করে থাকে । তাই নতুনদের জন্য অবশ্যই গ্যারান্টিযুক্ত কনটেষ্ট এ অংশগ্রহণ করা উচিত এতে করে ভুক্তভোগী হওয়ার অাশক্খা থাকে না।

কনটেষ্টে অংশগ্রহণ করার পূর্বেই প্রদত্ত ব্রিফ বা বিবৃত্তি অনুসরণ করা উচিত :

অাপনি যে কোন কনটেষ্টে অংশগ্রহণ করার পূর্বেই বায়ার অাপনাকে তার কনটেষ্টের উপর সর্ম্পূন্য একটি ধারণা দিয়ে থাকবেন । সেই সাথে বায়ার অাপনাকে কিছু নমুনা চিত্র সহ ডিজাইনের রংসাইজটেক্সটষ্টাইল ইত্যাদি সর্ম্পকে বিবরণ দিবে ব্রিফ এর মধ্য । অাপনি কনটেষ্টে অংশগ্রহণ করার পূর্বেই তা ভালো ভাবে জেনে নিবেন । অাপনি হয়তো ভাবতে পারেন সেখানে অন্য ডিজাইনারদের কাজের উপর ধারণা নিয়ে অংশগ্রহণ করব বা ডিজাইন অাপলোড দিব । তাহলে অাপনি ভুল করবেন কেননা বায়ার এর রিকয়ারমেন্ট যে অংশগ্রহনকারী সর্ম্পূণ্ বা অনুরুপ অনুসরণ করে কাজটি করতে পারবে বায়ার তাকেই বিজয়ী ঘোষণা করবে । তাই এই দিকটি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।

সিম্পল ডিউজাইন করুন এবং সেই সাথে সহজ কনটেষ্টে অংশগ্রহণ করুন :

অাপনার উচিত প্রথমে সর্বাপেক্ষা সহজ কনটেষ্টে গুলোতে অংশগ্রহণ করা । যেমন ৯৯ ডিজাইন মূলত লগো ডিজাইনারদের জন্য একটি বিশেষত জায়গা । তাই অাপনি সবচেয়ে বেশি নজর দিবেন সিম্পল লগো ডিজাইনের কনটেষ্ট গুলো অংশগ্রহণ করার । অার কোন ভাবেই অতি রঞ্জিত কোন কিছু ডিজাইন করার চেষ্টা করবেন না। প্রথমে ভাবুন সহজে বা সিম্পল ভাবে কিভাবে একটি স্মার্ট একটি ডি্জাইন করা সম্ভব।

রিভিউ বা ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য সর্বদাই চেষ্টা করা :

ডিজাইন সাবমিট করার পূর্ব হতেই অাপনার মাথায় থাকতে হবে কিভাবে বায়ারের ভালো একটি ফিডব্যাক পাওয়া সম্ভব। অাপনি রেটিং এর জন্য অাবেদন করবেন বায়ারের কাছে। অনেক সময় বায়ার অাপনাকে অাপনার ডিজাইন সর্ম্পকে মন্তব্য করতে পারে সে দিকে অব্যশই খেয়াল রাখবেন । দেখবেন বায়ার অাপনার কাছে কি ধরনের ডিজাইন অাশা করে। সবচেয়ে ভালো হয় রিসেন্ট বিজয়ী হয়েছে এরকম বিজয়ীদের ডিজাইনগুলো অনুসরণ করা ।

বায়ার রিভিশন :

বায়ার অাপনার ডিজাইন পছন্দ হলে যে কোন সময় তার কিছু বিচ্যুতি অাপনাকে রিভিশনের জন্য বলতে পারেন।  রিভিশনের জন্য অনুরোধ করা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা  সাধ্য অনুযায়ী সর্ম্পূন্য করা এবং দ্রুত সাবমিট করা। কিন্তু কোন ভাবেই অন্য অারেকটি নতুন ডিজাইন করা যাবে না। বায়ার এর মন্তব্য অনুযায়ী যে জায়গাগুলো রিভিশন করতে বলা হবে সেই জায়গাগুলো এডিট করে সাবমিট করতে হবে।

প্রতিযোগীতায় / কনটেষ্টে হেরে গেলে যা করবেন :

যদি কোন কনটেষ্টে অাপনি বিজয়ী হতে না পারেন । তাহলে অাপনার প্রথম কাজ হলো প্রদত্ত সাবমিট করা ডিজাইন Withdraw করা । তবে যদি ভালো ডিজাইনে অাশাতীত লাইক বা মন্তব্য পাওয়া যায় তাহলে সেই ডিজাইনগুলো নিজ প্রফাইলে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখতে পারেন যদি কোন বায়ার অাপনার প্রফাইল দেখে তাহলে সে অাপনার প্রতি ভালো ধারণা নিতে পারবেন । অনেক সময় অাপনাকে অফলাইনে কাজের জন্য নিতে পারে। কিন্তু তা অনেক ভেবে চিন্তে করা উচিত কেননা অাপনাকে বায়ার কাজ করিয়ে অাপনাকে ধোঁকা দিতে পারে ।

Sunday, December 23, 2018

অনলাইন ফ্রীল্যান্সিংয়ে সাফল্যের কাহিনী ও তাদের পরামর্শ

কয়েকজন বেসিস পুরষ্কারজয়ী ফ্রীল্যান্সারের সাফল্যের কাহিনী ও তাদের পরামর্শ এখানে তুলে ধরা হল:

Tuesday, December 18, 2018

ম্যানেজমেন্টের দশ ভুলে হারিয়ে যান যোগ্য কর্মীরা

যোগ্য কর্মীরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ও শ্রম দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে উন্নতির চুড়ায় নিয়ে যায়। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের কতিপয় ভুলে সে সকল যোগ্য কর্মীরা তাদের কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে যান। আসুন জেনে নেই ম্যানেজমেন্টের সেই ভুলগুলো কি?
১) বাড়তি কাজ
দক্ষ কর্মীরা যতটুকু কাজ করেন তা গুণগত মানসম্পন্ন হয়। এ কারনে ম্যানেজমেন্ট তাদের দিয়ে সব সময় বাড়তি কাজ করিয়ে নিতে চান। তখন কর্মীদের কাছে পারদর্শিতা শাস্তি হয়ে দাঁড়ায়। ষ্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, নিদ্রিষ্ট সময়ের পর থেকে বাড়তি প্রতি ঘন্টার কাজে, ঐ কাজের উৎপাদনশীলতা কমতে থাকে। কাজেই দক্ষদের নিয়ে বেশি বেশি কাজ করিয়ে লাভ নেই।


২) প্রতিদান না দেওয়া
দক্ষ কর্মীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে পাওনাটাও অন্যদের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। তা না হলে মেধা বা প্রতিভার মূল্য কোথায়? কিন্তু যখন তারা অন্য সবার মত বিবেচিত হন,তখন কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং অন্য কোথাও চলে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।


৩) ভালো-মন্দ না দেখা
সাধারণত কাজের অনিচ্ছা বা চাকুরী ছেড়ে যাওয়ার মূল কারণটি হয় উপরস্থ বসের সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকা। যে সমস্ত বস কর্মীর সফলতায় আনন্দিত হন না অথবা সমস্যায় সমাধানের পথ দেখাতে এগিয়ে আসেন না, তাদের অধিনে কোন দক্ষ কর্মীই কাজ করতে চান না।


৪) প্রতিশ্রুতি পালন না করা
ভালো কর্মীদের কাজে সন্তুষ্টি হয়ে অনেক ম্যানেজমেন্ট নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু মুখের কথা শেষ অবধি কথাই থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্টের উপর আস্থা হারান তারা। অবিশ্বস্ত ম্যানেজমেন্টের অধিনে নিরাপত্তাবোধ করেন না কোন দক্ষ কর্মী,তারা বিকল্প পথ খোঁজেন।


৫) অযোগ্য লোককে প্রমোশন দেওয়া
পরিশ্রমী দক্ষ কর্মীরা কিছুটা বেশি দাবি রাখেন। কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় ম্যানেজমেন্ট তাদেরতো প্রমোশন দেন না বরং তাদের এড়িয়ে ভূল অযোগ্য লোকদের প্রমোশন দেন। এতে যোগ্য কর্মীদের মনে হতাশা চলে আসে। তারা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে, কাজের স্বীকৃতি পেতে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।


৬) কর্মীর আবেগকে পাত্তা না দেওয়া
প্রত্যেক কর্মীর নিজস্ব পছন্দ এবং প্রয়োজন রয়েছে। এগুলো উপরস্ত বসের কাছে নিগৃহীত হলে দক্ষ কর্মীদের আত্বসন্মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাজের আগ্রহ কমতে থাকে। যারা সব নিয়ম পালন করেও আবেগ লালনে বাধাপ্রাপ্ত হন, তাদের কাছে কাজের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে ওঠে।


৭) কর্মীর দক্ষতাকে হেয় করা
লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলে জবাবদিহির ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় যে, উপরস্থ বসরা তাহাদের নিজেদের ব্যর্থতা দোষ কর্মীর উপর চাপিয়ে দেন। এই সমস্ত অনৈতিক আচারণ কোন দক্ষ কর্মীর কাছেই গ্রহণযোগ্য হয় না। তখন দক্ষ কর্মী নিজের লক্ষ্য অর্জনে বিতৃষ্ণা হয়ে পড়ে।


৮) সামান্য ভূলে অধিক শাস্তিভোগ
দক্ষ কর্মীর কাজের মাঝে সামান্য ভূলকে শুধরিয়ে না দিয়ে উপরস্থ বসরা কঠিন শাস্তি দেন। তাদের বিশ্বস্ততা, দক্ষতা, যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যা কর্মঠ কর্মীদের কাজের যোগ্যতাকে ছোট করা হয়। তখন দক্ষ কর্মীরা সহজ কাজকে সহজভাবে নিতে পারে না এবং ভালো পরিবেশের আশায় থাকে।


৯) সৃষ্টিশীলতায় বাধা প্রদান
মনোযোগী কর্মীরা যেখানেই হাত দেন, সেখানেই ভালো কিছু ঘটে। সৃষ্টিশীল কর্মীদের এই অসাধারণত্ব গুণের কদর না করলেই নয়। কিন্তু উল্টো হেয়প্রতিপন্ন হওয়া মোটেই কাম্য নয়। আর বিপরীতটা ঘটলেই কাজে ভালো কিছু করার অনিহা চলে আসে।


১০) অযথা পীড়াদায়ক লক্ষ্য নির্ধারণ করা
প্রত্যেক কর্মীর কর্মদক্ষতার সীমা পরিসীমা রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রাথমিক লক্ষ্য না দিয়ে ম্যানেজমেন্ট অস্বাভাবিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন। আর তা অর্জনে কর্মীদের সুস্থ ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।


এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া জরুরী মনে করেন প্রত্যেক দক্ষ কর্মী, যা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক ভাবে প্রযোজ্য।

Monday, December 17, 2018

খান’স কিচেনের বিশাল রান্নাঘরে শত শত লোকের রান্না | Khan's kitchen at Dhaka



See this link: খান’স কিচেনের উদ্যোক্তা (BBC News)



একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র


►একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র কোথায় হতে পারে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-▼



→ ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া:একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজের সঠিক মূল্যায়ন ও ভাগ্যকে পরিবর্তন করার যে ক্ষেত্রটি পান সেটি হলো ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া। এখানে বিশেষত: টেক্সট, গ্রাফিক্স, ভিডিও, অ্যানিমেশন, অডিওসহ যেকেনো কিছু এবং এ সম্পর্কিত সব কিছুই নিয়ে কাজ হয়। আমার মতে ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া হলো তেমনই একটি ভালো নিশ যেখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন।

→ প্রমোশনাল ডিসপ্লে: সাধারণত যারা বড় ধরনের বা বড় আকারের কাজ করতে চান বা কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন তাদের জন্য এটি একটি ভালো মাধ্যম। এ কাজগুলো মূলত বিভিন্ন অ্যাডমিডিয়াতে পাওয়া যায়। এখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে বিভিন্ন ধরণের বিলবোর্ড ডিজাইন এবং একই ধরণের প্রোমোশনার ডিসপ্লে ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে হয়।

→ জার্নাল:বিভিন্ন ধরণের জার্নালগুলো (বিষয়ভিত্তিক বা ব্যাঙ্গাত্বক) ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এখানে সাধারণত পাঠককে আকৃষ্ট করার কাজটি করতে হয়। এখানে আপনাকে ছোটখাটো লোগো, ইমোটিকন থেকে শুরু করে কমপ্লিট কাভার ডিজাইন করতে হতে পারে।

→ কর্পোরেট রিপোর্টস: এটি রেগুলার জব না হলেও কম নয়! একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন কোম্পানির কর্পোরেট রিপোর্ট তৈরি করে ভালোমানের আয় করতে পারেন। এটা অনেকটাই প্রফেশনাল কিন্তু মোটেই বোরিং কাজ নয়। কাজের মধ্যে অনেক স্বাচ্ছদ্য বোধ করা যায়।

→ মার্কেটিং ব্রোশিউর: এটিও অনেকটাই প্রোমোশনাল ডিসপ্লের কাজের মতো। এখানে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবা নিয়ে ডিজাইনের কাজটি করতে হবে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া যেহেতু কাজটি সম্ভব নয়, তাই এখানেও আপনার কাজের ক্ষেত্রটি হতে পারে।

→ সংবাদপত্র: গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া সংবাদপত্র! মোটেই সম্ভব নয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটি সংবাদপত্রকে ঠিকই সংবাদপত্রেরই মতো করে তোলেন। ফাইনাল লেআউট দেওয়ার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার অবশ্যই জরুরী। এখানে আপনার পেশার সন্মানটাও বেশি। তাই সংবাদপত্র একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য একটি সাফল্যজনক কাজের ক্ষেত্র।

→ ম্যাগাজিন:এটাও মূলত সংবাদপত্র ও জার্নালের মতো। তবে ম্যাগাজিনে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের পরিমান অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। কারণ ম্যাগাজিনে ভিজ্যুয়াল লেআউট বেশি থাকে। তাই ম্যাগাজিনের প্রত্যেকটা প্রকাশনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার, অবশ্যই আবশ্যক। এটাও আপনার যথোপযুক্ত কাজের ক্ষেত্র হতে পারে।

→ লোগো ডিজাইন:একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হলো লোগো ডিজাইন। এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করতে বেশি সময় লাগে না। আপনার ক্রিয়েটিভিই হলো লোগো ডিজাইনের মূল কথা। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তার প্রতিষ্ঠানের লোগো তৈরির জন্য একজন ফ্রিল্যান্স লোগো ডিজাইনার অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইনারে খোঁজ করেন। তাই আপনি সহজেই কাজ পাবেন এবং ভালো করতে পারলে তাদেরকেই আপনার রেগুলার বায়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

→ ওয়েবসাইট ডিজাইন:সবশেষে বললেও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজের ক্ষেত্র ওয়েবসাইট ডিজাইন। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটাই বলি না কেনো প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইনের কাজের পরিমাণ বাড়ছে। তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন করেও আপনা গ্রাফিক্স ডিজাইনার পেশাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন নিদ্দিষ্ট লক্ষ্যে।

Text Source: ITPal Limited

Wednesday, December 12, 2018

মার্কেটিং করার উপায় বিষয়ে বিবিধ লিংক (টেক্সট ও ভিডিও)



মার্কেটিং করার উপায় বিষয়ে বিবিধ লিংক (টেক্সট ও ভিডিও): 

Text Links:







Video Links:
ক্রেতা সম্পর্ক বজায় রাখতে "P & G'র দুর্দান্ত মার্কেটিং কৌশল।

যেভাবে আপনার ক্রেতাকে লাইফটাইম ক্রেতায় পরিণত করবেন।








জ্বলে উঠার গল্প - পথহারা মানুষদের পথের সন্ধান দিন

(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

Monday, December 10, 2018

খান কিচেন : সাধ্যের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ফেরিওয়ালা


‘‘আমার স্বামী চাকরিজীবী। আমিও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। সকাল হলেই দু’জনের তাড়া থাকে অফিসের। ইচ্ছা হয় সকালে একটু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করি নিজেদের জন্য। কিন্তু অফিস সময় মেনে চলার জন্য তা আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই হাতের কাছের কোনো রেষ্টুরেন্টে পরাটা কিংবা রুটি দিয়েই সকালের নাস্তাটা সারি। দুপুরেও বাইরের খাবার খেতে হয়। জানি বাহিরের খাবার স্বাস্থসম্মত নয়, তারপরও কোনো উপায় নেই।’’— কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী নুপুর আক্তার (ছদ্ম নাম)।
আশ্চর্য হলেও সত্য নুপুর আক্তারের এ কথাগুলো দারুণ এক ধারণা এনে দেয় আফরোজা খান-এর মাথায়। যে ধারণা থেকে আফরোজা খান এখন ‘খান কিচেন’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রতিদিন যেখানে রান্না হচ্ছে লাখো মানুষের খাবার। যেখানে কর্মসংস্থান হচ্ছে চার হাজার মানুষের। রাজধানীর নতুন বাজারের পূর্ব পাশে বেরাইদ এলাকায় ১৫ বিঘা জমির উপর নিজ উদ্যোগে রান্নাঘরটি প্রতিষ্ঠা করছেন তিনি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় রান্নাঘর বলে দাবি করেন তিনি।
উদ্যোক্তা আফরোজা খান একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে ‘খান কিচেন’প্রতিষ্ঠার শুরুর কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগে আমি আমার এক পরিচিত জনকে (নুপুর আক্তার) অফিসে দুপুরের খাবার খেতে দেখি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, কি খাচ্ছেন? কি দিয়ে খাচ্ছেন? জবাবে নূপুর আক্তার আমাকে বলেছিলেন, ‘আপা এটা হোটেল থেকে আনা খাবার। দেখেন কেমন তেল ভাসছে। আমারও মনে হয়, এ খাবার খেলে বেশিদিন হয়তো বা বাঁচবো না। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হয়তো অল্প বয়সেই বিছানায় পড়ে যাব। কিন্তু কি করবো? বাসায় সকালে খাবার তৈরির সময় পায় না। তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও নিরুপায় হয়ে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি নিয়ে এসব খাবার খেতে হয়।’’
আফরোজা খান বলেন, ‘‘সেদিন নূপুরের সেই কথায় আমার খুবই কষ্ট লেগেছিল। সেই কষ্ট থেকে দারুণ একটা ধারণাও মাথায় এসেছিল। যে ধারণা থেকেই আমি আজ ‘খান কিচেন’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আমার লক্ষ্য উদ্দেশ্য একটাই, তা হলো, ব্যস্তময় নগর জীবনে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত দেশি খাবার নিশ্চিত করা। কারণ, ঢাকায় বসবাসরত বেশিরভাগ মানুষই চাকরিজীবী। এ নগরীতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে সাড়ে ৪৪ হাজার লোক বসবাস করেন, যাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত কর্মজীবী। যাদের অধিকাংশ মানুষ ভোগেন পেটের পীড়ায়। এর অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার।’’
‘‘যারা বাহিরের কোনো হোটেলে দুপুরের খাবার খাই, সেই খাবারগুলো কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা যাচাইয়ের ফুরসত থাকে না। আর হোটেল বা বাহিরের সেই খাবারগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন থেকে যায়, তেমন দামও অপেক্ষাকৃত বেশি হয়। আবার অফিস ছেড়ে হোটেলে বা বাহিরে গিয়ে খাবার খেতেও অনেক সময় নষ্ট হয় চাকরিজীবিদের। তাই সাধ, সাধ্য, স্বাস্থ্য আর সময়ের বিষয় মাথায় রেখে আমি ‘খান কিচেন’প্রতিষ্ঠা করেছি। যেন নগরবাসীকে অন্তত দুপুরে  স্বাস্থ্যঝুঁকির খাবার না খেতে হয়। পুষ্টিসম্মত দেশি গরম খাবার খেয়ে যেন তাদের স্বাস্থ্যের দিকটা ঠিক থাকে। তাই অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে গড়ে তোলা হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের রান্নাযজ্ঞ খাবার প্রস্তুত প্রতিষ্ঠান খান কিচেন।’’
আফরোজা খান বলেন, ‘‘এখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের খাবার রান্না হবে। হাতের স্পর্শ ছাড়া মেশিনে হবে কাজ। কর্মজীবীদের কাছে ‘খান কিচেন’ ঘরের গরম খাবারের স্বাদের অভাব ঘোচাবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা মতিঝিল, বনানী, ফার্মগেট এলাকার বিভিন্ন হোটেল, খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং কর্মজীবী মানুষের উপর জরিপ করেছি। এরপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেগা কিচেন দেখে এবং রিসার্চ করে নিজেদের পরিকল্পনা এবং চাহিদামতো মেশিন এনেছি। ছয় মাস পরীক্ষামূলক চালিয়েছি। মানুষের খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। আমাদের খাবার এখন বারিধারা, গুলশান এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। পরে পুরো ঢাকায় শুরু করব। বর্তমানে ২০ হাজারের কাছাকাছি অর্ডার পাচ্ছি।’’
‘খান কিচেন’র নির্বাহী পরিচালক আলিফ খান একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, ‘‘জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহার করে এশিয়ার বৃহৎ খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গড়েছি আমরা। উৎপাদন পদ্ধতিতে আমরাই প্রথম ব্যবহার করছি বিশ্বে খাবার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের সর্বাধুনিক পদ্ধতি ফোরজি (ফোর্থ জেনারেশন) হাই এফিসিয়েন্সি ক্লাসিফায়ার প্রযুক্তি। এছাড়া আমরা নিশ্চিত করেছি স্টিম ইনজেকশন সিস্টেম, অ্যাপেক্সি ফ্লোর এবং ইলেকট্রিক পদ্ধতিতে পরিবেশবান্ধব খাবার। আর এ খাবার তৈরিতে আমাদের সঙ্গে আছেন বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশিল্পী টনি খান।’’
ব্যাপারে ‘খান কিচেন’র শেফ টনি খান বলেন, ‘‘মানুষকে তো মেশিন দেখিয়ে খাওয়ানো যাবে না। খাবারে যেন মায়ের হাতের স্বাদ থাকে এবং তেল, লবণ আর মসলার পরিমাণ যেন স্বাস্থ্যসম্মত থাকে। এসব বিষয়ে সচেতন থেকে আমরা খাবার তৈরি করছি। আর খাবারের মেন্যুতে স্যুপ, ডাল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস এবং মিষ্টান্নও থাকছে। এছাড়া উৎসব বা সময় বুঝে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়। একজন মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবারের প্রয়োজন এক বেলাতে তার সবটুকুই আছে আমাদের মেন্যুতে। এছাড়া স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থাও আছে।
এই রান্নাঘরে ঢোকার আগে বাইরে জুতা খুলে আলাদা জুতা পরতে হয়। বাইরের পোশাক পাল্টে প্রতিটি বিভাগের কর্মীদের পরতে হয় রান্নাঘরে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত পোশাক। রান্না ঘরে ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ রঙের অ্যাপোক্সি ফ্লোর। টাইলসের মেঝেতে ময়লা জমার সুযোগ থাকে কিন্তু এই মেঝেতে ব্যাকটেরিয়া নিঁখুতভাবে পরিষ্কার করা যায়। এখানে রাইস স্টিমার মেশিনে আধা ঘণ্টায় ৩৮০ কেজি চাল থেকে ভাত রান্না হয়। এরকম ১০টি মেশিনে রান্না হয় ভাত। আরও কয়েকটি মেশিন রয়েছে সংযোজনের অপেক্ষায়। আছে চাল ধোয়া, সবজির খোসা ছাড়ানো, প্রয়োজন মতো কাটা এবং মসলা পেস্ট করার, মাছ কাটা ও মাংস কাটার মেশিনও।
ভোজন রসিকদের সুবিধার্থে খান’স কিচেন ব্যবহার করছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বানানো বাক্স, যা বাইরের আর্দ্রতা থেকে খাবারকে সুরক্ষিত ও টাটকা রাখতে সহায়ক। ফলে খাবার গরম থাকবে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময়। সর্বোচ্চ মানের কাঁচামাল, উৎপাদনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, কম্পিউটারাইজড ল্যাবরেটরি, নিজস্ব প্যাকেজিং ইউনিটের আধুনিক ব্যবহার নিশ্চিত করে শতভাগ গুণগতমান বজায় রাখতে চান সংশ্লিষ্টরা।
কয়েকটি নিরাপদ জোনে ভাগ করা হয়েছে। কাঁচা দ্রব্য মজুদের স্থান ও কিচেনে প্রবেশ থেকে শুরু করেই প্রতিটি পর্যায়ে রয়েছে সুরক্ষিত পদ্ধতি। রান্নার পর তার স্বাদ ও মান পরীক্ষার জন্য রয়েছে অটোমেটিক মেশিন। নির্ধারিত তাপমাত্রা আনার পর তা অটোমেটিকভাবে বক্সে ভরে সরবরাহের জন্য সংরক্ষণে রাখা হয়।
‘খান কিচেন’ নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। খাবারের দামও নাগালের মধ্যে। আমাদের দুই ধরণের খাবার আছে। প্রিমিয়াম মেন্যু ও এক্সিকিউটিভ মেন্যু।
প্রিমিয়াম মেন্যুতে আছে স্টিম রাইস, ভেজিটেবল স্যুপ, মুরগি অথবা মাছ, সবজি এবং মিষ্টান্ন। মাছ এবং মাংসের বিভিন্ন ধরনের ডিশ থাকে এই মেন্যুতে। দাম পড়বে ১৩৫ টাকা। আর এক্সিকিউটিভ মেন্যুতে আছে ভাত, মুরগি ভুনা অথবা মাছ, ডাল, সবজি বা ভাজি। এর দাম পড়বে ৯৫ টাকা। বিভিন্ন দিন বিভিন্ন ধরনের মেন্যু থাকে। বিকাল ৫টার মধ্যে ১৬৫২০ নম্বরে ফোন করলেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে দুপুরের খাবার। তবে সর্বনিম্ন ৪টি খাবারের অর্ডার দিতে হবে। খাবারের বিল পরিশোধ করতে হবে খাওয়ার পর বাক্স ফেরত নেয়ার সময়।

Thursday, December 6, 2018

সুস্থ থাকি : দুপুরে অফিসে কী খাবেন - By শরিফুল ইসলাম


অফিসে দুপুরে কী খাব? কতটুকু খাব? কর্মজীবীদের প্রায় প্রতিদিন এ নিয়ে ভাবতে হয়। অনেকেরই দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম পায়। সে কারণে কেউ কেউ দুপুরে খেতে চান না। মনে রাখতে হবে, দুপুরের খাবার সকালের নাশতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে সারা দিন কাজের ব্যস্ততায় দুপুরে বেশি ক্ষুধা লাগে। তাই এ সময় খেতে হয় পুষ্টিকর খাবার। এর পরিমাণ এমন হতে হবে, পেট ভরবে, মনও ভরবে; কিন্তু খাওয়ার পর ভারী বোধ হবে না। দিনের বাকি সময়ে কাজ করার জন্য প্রাণশক্তিও ফিরে আসবে। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান আখতারুন নাহার জানান, অফিসে নেওয়ার জন্য সহজে বানানো যায়, খাওয়া যায়, খুব বেশি ঘ্রাণ ছড়ায় না, পর্যাপ্ত পুষ্টিমান নিশ্চিত করে—এমন খাবার নির্বাচন করা উচিত। রুচি বাড়ানো বা ঠিক রাখার জন্য একেক দিন একেক খাবার খেতে পারেন। অফিসে শুকনা খাবার নেওয়া ভালো—নেওয়া সহজ, নষ্টও হয় না। খাবারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। দুপুরে শুধু সালাদ খাওয়া ভালো নয়। কারণ, শুধু সালাদ খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যাবে না। যত বিকেল হবে, কাজ করার আগ্রহ তত কমে যাবে। কর্মক্ষেত্রে ভাত অল্প খেলে ভালো। এতে ঘুম-ঘুম ভাব আসবে না।
যেসব খাবার অফিসে খাওয়ার উপযোগী

সাদা ভাত: অনেকেই দুপুরে ভাত না খেয়ে থাকতে পারেন না। আবার কারও কারও দুপুরে ভাতের বদলে অন্য কিছু খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। যাঁরা দুপুরে ভাত ছাড়া অন্য কিছু খেতে পারেন না, তাঁরা অফিসে ভাত অল্প খেতে পারেন। ভাতের সঙ্গে সবজি, মুরগির মাংস কিংবা মাছ খেতে পারেন।

রুটি-সবজি: অফিসের জন্য আরেকটি সুবিধাজনক খাবার হলো রুটি-সবজি। বানাতে খুব বেশি সময়ও লাগে না। ডিম-সবজি হলে ভালো, এতে পুষ্টিমান ঠিক থাকে। এ ছাড়া শুকনা খাবার হওয়ায় খেতে খুব বেশি ঝক্কি-ঝামেলাও পোহাতে হয় না। তেমন তেল-মসলা নেই। তাই খাবারের ঘ্রাণে সহকর্মীদেরও সমস্যা হয় না।

নুডলস/ পাস্তা/ চাওমিন: অফিসে দুপুরের খাবারে নুডলস খেতে পারেন। খুব অল্প সময়ে সকালবেলাই রান্না করা যায় এটি। নুডলস-জাতীয় পাস্তা ও চাওমিন নিতে পারেন অফিসে। নুডলস, পাস্তা কিংবা চাওমিনকে পুষ্টিকর করে তোলার জন্য সবজি, মাংস, ডিম ইত্যাদি দিয়ে রান্না করুন। এতে স্বাদও বাড়বে, পুষ্টির অভাবও হবে না।

স্যান্ডউইচ: অফিসে সহজেই খাওয়া যায়, এমন একটি খাবার হলো স্যান্ডউইচ। এটা বানানো খুব সোজা। নিজের স্বাদ ও পছন্দমতো ডিম, মুরগির মাংস কিংবা সবজি দিয়েও স্যান্ডউইচ বানিয়ে নিতে পারেন। সঙ্গে তাজা লেটুসপাতা, শসা, টমেটো ইত্যাদি যোগ করে একে আরও পুষ্টিকর করা যেতে পারে।
সালাদ: যাঁরা ওজন নিয়ে সমস্যায় আছেন কিংবা সালাদ খেতে ভালোবাসেন, তাঁরা অফিসের খাবারে সালাদের পরিমাণ বেশি রাখতে পারেন। অফিসের খাবারে ভাত, রুটি, নুডলস, ডাল—যা-ই খান না কেন, প্রতিদিনের খাবারে চেষ্টা করবেন সালাদের গুরুত্বটা দিতে। সবজি ফলমূল দিয়ে তৈরি সালাদ আপনি ভাত বা রুটির চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে খাবেন।
অন্যান্য: দুপুরে যাঁরা ভারী খাবার উপেক্ষা করতে চান, তাঁরা আপেল, কমলা, নাশপাতি ইত্যাদি ফল খেতে পারেন। বাসায় তৈরি সবজির স্যুপও খেতে পারেন। আঁশযুক্ত এই সবজি সারা দিনে যে পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল প্রয়োজন, তা পূরণ করে দেবে।
এ ছাড়া ডেজার্ট যেমন কেক, পুডিং, নানা রকম ফলের মিশ্রণে দই দিয়ে তৈরি অফিসে দুপুরের খাবারে খুব সহজেই খেতে পারেন।

কিছু সতর্কতা

 অফিসে দুপুরের খাবার হিসেবে ভাজা-পোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।

 অফিসে শুঁটকি-জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ, এর ঘ্রাণ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তাই সহকর্মীদের অসুবিধা হতে পারে।

 ফল হিসেবে কাঁঠাল অফিসে না আনাই ভালো। কারণ, অনেকেই এর গন্ধ পছন্দ করেন না।

 অফিসে খাওয়ার সময় খাবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা উচিত নয়। খাওয়ার সময় টেবিল কিংবা মেঝেতে খাবার পড়লে সেটা নিজেই পরিষ্কার করে ফেলুন।

Source: https://www.prothomalo.com

Wednesday, December 5, 2018

স্বল্প পুঁজিতে ক্যাটারিং ব্যবসায় নিম্ন আয়ের মানুষ

ছবি- সংগৃহীত
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত অঞ্চল মতিঝিল। ব্যাংক ও অফিসপাড়া হিসেবে পরিচিত অঞ্চলটিতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন লাখ লাখ মানুষ। এসব মানুষের একটি বড় অংশ দুপুরের খাবারের জন্য নির্ভর করেন ক্যাটারিং সার্ভিসের ওপর।
কর্মজীবী এসব মানুষকে কেন্দ্র করে অঞ্চলটিতে কয়েকশ’ নিম্ন আয়ের মানুষ গড়ে তুলেছেন বিশাল ক্যাটারিং ব্যবসা। অফিসে অফিসে খাবার সরবরাহ করা এই ক্যাটারিং ব্যবসায় জড়িতদের বড় অংশের বসবাস মতিঝিল সংলগ্ন ফকিরাপুলে।
ক্যাটারিং ব্যবসায় জড়িত এবং তাদের সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০০ সালের আগে থেকে অঞ্চলটিতে এই ক্যাটারিং ব্যবসা চলছে। তবে ২০০০ সালের দিকে ব্যবসাটি মতিঝিল থেকে ফকিরাপুলে বেশি জনপ্রিয় ছিল। ফকিরাপুলে গড়ে ওঠা প্রেসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেন্দ্র করে মূলত বাসায় রান্না করা খাবার প্লাস্টিকের বাটিতে করে সরবরাহের মাধ্যমে একশ্রেণির নারী এ ব্যবসা করতেন।
ধীরে ধীরে এ ব্যবসা ফকিরাপুলের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র মতিঝিল, পল্টন অঞ্চলে। অফিসপাড়ায় দুপুরের খাবার সরবরাহের এ ব্যবসা জমজমাট হতে থাকে ২০০৪-০৫ সাল থেকে। বর্তমানে মতিঝিল-পল্টন অঞ্চলের লক্ষাধিক কর্মজীবী মানুষ দুপুরের খাবারের জন্য পুরোপুরি নির্ভর করেন ক্যাটারিং ব্যবসায়ীদের ওপর। এদের কেউ দিন চুক্তিতে, আবার কেউ মাস চুক্তিতে খাবার নিয়ে থাকেন।
ক্যাটারিং ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দিন চুক্তিকে দুপুরের খাবার নেন একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা আবদুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের অফিসের ১০ জন প্রতিদিন দুপুরে একজনের কাছ থেকে খাবার নেয়। বাটিতে করে অফিসে এসে খাবার দিয়ে যায়। ভাতের সঙ্গে মাছ অথবা মুরগির মাংস এবং ডাল ও সবজি থাকে। মাঝে মধ্যে খিচুড়ি ভোনাও দেয়। একজনের খাবারের দাম পড়ে ৬০ টাকা।
তিনি বলেন, শুধু আমরা নই, এই বিল্ডিংয়ে ১০০টির বেশি অফিস আছে। প্রতিটি অফিসে ৫-১০ জন বা তারও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী দুপুরের খাবার এদের কাছ থেকে নেন। সে হিসাবে এই বিল্ডিংয়ে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ দুপুরের খাবারের জন্য তাদের ওপর নির্ভর করেন।
দিলকুশার একটি ব্যাংকে কাজ করেন মো. জাফর। তিনি বলেন, মতিঝিল অঞ্চলে যারা চাকরি করেন, তাদের বড় অংশ দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় রান্না করে অফিসে অফিসে খাবার সরবরাহকারীদের ওপরে নির্ভরশীল। দিনের টাকা দিনে দিয়ে দেয়ার পাশাপাশি অনেকে মাস চুক্তিতে বাকিতে দুপুরের খাবার খান। মাস শেষে বেতনের টাকা পেলে খাবারের বিল পরিশোধ করেন।
ফকিরাপুলের একটি প্রেসে কাজ করা আনোয়ার বলেন, এক খালার কাছ থেকে আমরা মাস চুক্তিতে দুপুর ও রাতের খাবার নেই। খালা নিজে এসে বা তার ছেলের মাধ্যমে খাবার আমাদের প্রেসে পাঠিয়ে দেন। কোনো দিন ভাত, মাছ ও ডাল। কোনো দিন ভাত, মুরগির মাংস, ডাল আবার কখনও কখনও ভাত, ডিম ও আলু ভর্তা বা ডাল থাকে। প্রতি বেলায় জনপ্রতি খালাকে ৪০ টাকা দিতে হয়।
মতিঝিলের অফিসে অফিসে খাবার সরবরাহ করেন আলেয়া বেগম। তিনি বলেন, আমি প্রায় সাত বছর ধরে খাবার সরবরাহ করছি। প্রথমদিকে গ্রাহক ছিল কম। এখন আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো গ্রাহক আছে। অফিসে অফিসে খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য দুজন সহকারীও রেখেছি।
তিনি বলেন, আমরা বাসায় রান্না করি। সুতরাং হোটেলের তুলনায় আমাদের খাবারের মান ভালো এবং দামও কম। যে কারণে, অনেক বড় বড় স্যারও আমাদের কাছ থেকে খাবার নিয়ে থাকেন। আমি যাদের কাছে খাবার বিক্রি করি তারা দিনের টাকা দিনেই দিয়ে দেন। তবে মাঝেমধ্যে কেউ কেউ এক-দুদিন বাকি রাখেনে। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ করেন।

Source: www.jagonews24.com

Sunday, December 2, 2018

ভার্চুয়াল অফিস এবং ভার্চুয়াল অফিস সার্ভিস

ভার্চুয়াল অফিস

মুহাম্মদ আবুল হুসাইন: সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জীবনধারায় এসেছে অনেক পরিবর্তন।সেই সাথে পাল্টে যাচ্ছে আরো অনেক কিছু।তার মধ্যে অন্যতম হলো ভার্চুয়াল অফিস।ভার্চুয়াল অফিস হলো এমন অফিস, যা বিদ্যমান কিন্তু দৃশ্যমান নয়।ভার্চুয়াল অফিস পদ্ধতিতে কর্মীরা সশরীরে অফিসে হাজির না হয়েও ঘরে-বাইরে যেকোনো জায়গায় বসে অনলাইনে কাজ সারতে পারছেন।খ্যাতনামা ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইয়াহুতে একসময় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অফিস করার সুযোগ ছিল। 
গতানুগতিক অফিস বলতে আমরা বুঝি এমন একটি অফিস যার একটি দৃশ্যমান স্থাপনা থাকবে।অর্থাৎ নিজস্ব বা ভাড়া করা একটি বিল্ডিং বা কমপক্ষে এক বা দুটি রুম থাকবে, ফার্নিচার থাকবে, লাইট-ফ্যান, এসি, কম্পিউটার প্রিন্টার ইত্যাদি থাকবে এবং সেখানে স্টাফরা একসাথে বসে কাজ করবে।
গতানুগতিক ধারণায় ব্যবসা শুরু করার পর প্রথমেই বিরাট একটা অংশ খরচ হয়ে যায় অফিস সেট আপ করতে। তারপর অফিস ও অফিস স্টাফ চালানোর খরচ। সেটা আপনার ব্যবসায় লাভ হোক আর নাই হোক। তাই ব্যবসার ইচ্ছে থাকলেও অফিস স্টাব্লিশমেন্ট কস্ট'র কারণে অনেকে সেটা প্রফেশনাল ভাবে করতে পারছেন না; ব্যবসার আইডিয়া যত ভালই হোক না কেন।
কিন্তু নানা বাস্তবতার কারণে কর্মক্ষেত্রের এই গতানুগতিক ধারণায় পরিবর্তন এসেছে।এখন চালু হয়েছে ভার্চুয়াল অফিস, যা ওয়ার্কস্পেস শিল্পেরই একটি অংশ, কিন্তু এটি একই সাথে নমনীয় এবং যুগোপযোগি।এরফলে শুধু যে উদ্যোক্তাদের অফিস স্টাব্লিশমেন্ট কস্ট বাবদ মূলধনের একটা বিরাট অংশ বেঁচে যায় তাই নয়, যানজটের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় স্টাফদের কর্মঘন্টার সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তিও কমে যায়।বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বিশেষ করে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার সহজলভ্যতার কারণে এখন ভার্চুয়াল যোগাযোগ সহজ হওয়ায় মানুষ বিভিন্ন অবস্থানে থেকেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও সেবার আদান প্রদান করতে পারার কারণে ভার্চুয়াল অফিসের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।এর 
ফলে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে ই-কমার্স বিজনেস। ভার্চুয়াল অফিসের জনপ্রিয়তা যত বৃদ্ধি পাবে গণপরিবহণের উপর চাপও তত হ্রাস পাবে।সেই সাথে বৃদ্ধি পাবে কাজের গতি।

ভার্চুয়াল অফিস সার্ভিস


ব্যবসা শুরু করার পর প্রথমেই বিরাট একটা অংশ খরচ হয়ে যায় অফিস সেট আপ করতে। তারপর অফিস ও অফিস স্টাফ চালানোর খরচ। সেটা আপনার ব্যবসায় লাভ হোক আর নাই হোক। তাই ব্যবসার ইচ্ছে থাকলেও অনেকে সেটা প্রফেশনাল ভাবে করতে পারছেন না। কারণ আপনার ব্যবসার আইডিয়া যত ভালই হোক না কেন। যদি আপনার কোন অফিস না থাকে তাহলে কেউই আপনাকে গুরুত্ব দিবে না। আর সেটা মাথায় রেখেই আমার আপনাকে একটা খুবই নামমাত্র মূল্যে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে ভার্চুয়াল অফিসের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
ভার্চুয়াল অফিসের সার্ভিস সমূহঃ

আপনার নিজস্ব অফিসের মতো ঠিকানা ব্যবহার করতে পারবেন।
অফিসিয়াল মিটিং করতে পারবেন।
সকল চিঠিপত্র যা আপনার নামে আসবে তা সাথে সাথে আপনাকে অবহিত করা হবে।
অভ্যর্থনাকারী আপনার হয়ে অফিস সময় ১০-৬ টা আপনার প্রদত্ত তথ্য প্রদান ও গ্রহন করবে।

ভার্চুয়াল অফিস সার্ভিস ব্যবহার করলে হাজার হাজার টাকা দিয়ে আপনাকে অফিস ও অফিস স্টাফ রাখতে হবে না।
:::::::::::::::::::::: আপডেট ::::::::::::::::::::::::
ভার্চুয়াল অফিস সার্ভিস হল। মাসে একটি নির্দিষ্ট সার্ভিস চার্জ দিয়ে একটি অফিস ও স্টাফ ব্যবহার করা। নিউ ডিওএইচএস মহাখালীতে আমাদের ১৫০০ বর্গফুটের ফার্নিশ অফিস ও স্টাফ আছে। যেটা আপনি আপনার অফিস হিসাবে ব্যবহার করেত পারবেন। আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে মিটিং করতে পারবেন। আপনার কোন প্রডাক্ট যদি ডিসপ্লে করার প্রয়োজন হয় সেটা করতে পারবেন। একটি টিএন্ডটি ফোন আছে। যা আপনি আপনার মত ব্যবহার করতে পারবেন। রিসিপশনিষ্ট আপনার হয়ে আপনার দেয়া যাবতীয় তথ্য প্রদান করবে। এক কথায়, আপনি যদি একটি অফিস ভাড়া নিয়ে স্টাফ নিয়োগ দিয়ে, যা যা সুবিধা পেতেন। সেই সকল সুবিধাই আপনি ভার্চুয়াল অফিস সার্ভিস এর মাধ্যমে পাবেন। প্রয়োজনে আমাদের অফিস ভিজিট করতে পারেন। ঠিকানা রোড় – ২১, বাড়ী ৩১৩ এ, নিউ ডি ও এইচ এস, মহাখালী, ঢাকা। মেইল : gazirumi@ymail.com
কল দিবেন যে কোন কর্মদিবসে দুপুর ২.০০ – ৫.০০ টা ফোন : ০১৭০৩৫৫০১৮৯