Thursday, July 25, 2019

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ পাওয়ার অব্যর্থ টিপস


Fiverr: best earning process-

How to Promote Your Fiverr Gigs

1. Involved in Social Marketing
I can assure you that there are no magic tips for you to promote your gigs. Every gig is different, so every social media platform has a different promotional effect on your gig. I’m not going to list all of them out, as you can easily find a big list of online social platforms just by Googling. It’s actually hard for you to engage in social marketing to promote your gigs, as you’ll need to make it as natural as possible. Don’t just open a LinkedIn profile and start putting all promotional stuff in it. Don’t just open a Twitter account tweeting only about your gigs. People often hate over self-promotion. You need to make it natural by sharing interesting links, fun content, and being sociable and interactive with your fans. If you like speaking or are involved in voice-over, you can start a podcast or soundcloud account. If you’re a writer, why not start a personal blog and slowly build up and promote your Fiverr business? Or if you enjoy videos, video sharing platforms like YouTube and Vine would be a great choice for you. Start a channel and be resourceful and fun. Facebook, Twitter, Google+ are normally the most popular platform for Fiverr sellers to promote themselves. Only promote your gigs regularly, but not too frequently. Otherwise, your fans will be annoyed.

2. Set up a Website and Start doing SEO
You can set up a website dedicated to your Fiverr business, just like this website I host. Register a domain name with a little budget, which can certainly help you brand yourself. There are free hosting services like Google Blogger, WordPress and Wix. Though paid hosting is better in terms of functionality and search engine optimization, you may need to consider these free hosting platform if you don’t have any budget. Don’t just set up a blog or website, and start filling all of your promotional stuff in it. No one will care, and no one will find your website. Start by providing resources, freebies, information, useful content concerning your niche. Start learning basic SEO to help your website be discovered by search engine, and finally other people. Just make it naturally rather than over-promotional. It should look like a portfolio website with useful resources, instead of a promotional leaflet.

3. Diversify and Do Cross Promotion
Try diversifying your gigs by offering various services in your categories. This can make your portfolio richer and contribute to a cross promotional effect. For example, if you’re doing writing, you can make different gigs for writing blog posts, sales copy, about us page, or even rewriting articles. If you’re doing logo design, create various gigs for retro logos, badge logos, mascot logos and flat logos. This method may not work for everyone. Sometimes a general gig called “I will write articles” or “I will design logos” may convert better. But for me, I’d recommend diversifying and being a little specific for each of your gig. Then, in each of your gig, you can cross mention your other gigs in the description, so customers can have choices, and are prompted to order your other services.

4. Reply to Buyer Requests
For those who haven’t heard of buyer requests, it’s getting a little technical here. Follow these steps to get to the buyer requests page in the current version of Fiverr (through the desktop website in this example): hover over your username in the right upper corner, then click “My Sales”, and you’ll see there is an option saying “Buyer Requests”. Replying buyer requests is particularly useful for service provides doing design, SEO and writing. It may not help you get lots of orders, but it’s still worth a try. For me, I’ve only received several orders through buyer requests, but it already sounds good. You’ll need to select the most suitable gig in your portfolio when you reply to a buyer request.

5. Consider Paid Advertising
For paid advertising, I’m referring to small-scale ad campaigns outside Fiverr, particularly Facebook ad and Google Adwords. I mention “consider” only in the title, as this method may not suit everyone, including me. You can try if you have a little spare money to spend. For Facebook ads, I’d suggest opening a Facebook page and start building up your brand, with help of advertising. It’ll have a long-term boost effect compared with the ads prompting people to directly visit your Fiverr gigs.

6. Be Prepared for Criticism
The Internet is still the Internet, and it’s full of people with different opinions. Be ready to defend yourself when you’re mentioning Fiverr in forums, online communities or social platforms. Some people particularly hate Fiverr due to their job nature. I once met some furious so-called professional logo designers, and they were saying that Fiver is devaluing the “art” of design, the “training” and “experience” of a professional logo designer. Of course I did argue with them. Face criticism, defend yourself. After all, controversy is a great way to increase exposure of your Fiverr gig (yeah, that’s true!).

7. Article Marketing and Guest Posting

You can promote your Fiverr gigs by providing the audience with useful information, which is a softer way of advertising and can often get good results. I'd recommend HubPages for article marketing. For example, if you're designing logos, you can share tips and the latest trend of logo design. Guest posting on popular blogs is also a great way of exposure, but it'll be quite difficult to get your guest post accepted if it provides no value to the blog. My website also accepts guest posts related to Fiverr. If you're interested, feel free to contact me for more details. Here is an example of how a guest post looks like (By the way, it currently ranks in the first page of Google for "Fiverr proofreading"!)

Sunday, July 21, 2019

ফ্রি হাই রেজুলুশন স্টক ইমেজের ওয়েবসাইটসমূহ

আমরা অনেকেই প্রফেশনাল মানের এবং ভালো কোয়ালিটির স্টক ইমেজ ডাউনলোড নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। প্রফেশনাল কোয়ালিটির স্টক ইমেজ গুলো দাম দিয়ে কিনতে হয় যা আমাদের বেশিরভাগের জন্য অসম্ভব। গুগলে সার্চ দিয়েও পাওয়া যায় কিন্তু কপিরাইট লঙ্ঘনের একটা ব্যাপার থাকে যা অনেকেই করতে চাইনা। নিচে কিছু ফ্রি স্টক ইমেজের ওয়েবসাইট লিংক দিলাম যেখানে হাই রেজুলুশন এবং প্রফেশনাল কোয়ালিটির ইমেজ পাওয়া যাবে।

বিঃ দ্রঃ বেশিরভাগেই কিছু রেস্ট্রিকশন আছে। যেমন, মাসে ১০টার বেশি ফ্রি ডাউনলোড করতে পারবেন না। অথবা তাদের সার্চ ফাংশান ব্যবহার করে Free, CC License, Public Domain ইত্যাদি সিলেক্ট করে সার্চ করে ডাউনলোড করে নিতে হবে। পরবর্তীতে আমি সময় সুযোগ করে বিস্তারিত পোষ্ট দিব প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের ডাউনলোড করার পদ্ধতি নিয়ে। আপাতত ব্রাউজ করতে থাকুন, ডাউনলোড করতে থাকুন। ধন্যবাদ।



































Thursday, July 18, 2019

How to get invitation on creativemarket and other (ক্রিয়েটিভ মার্কেট তে আইটেম কি ভাবে দিবেন)

ক্রিয়েটিভ মার্কেটে আপনি আপনার ডিজাইন করা লোগো, বাউচার, ইলাস্ট্রেশন, ওয়েব টেমপ্লেটসহ যে কোন গ্রাফিক্স ডিজাইন বিক্রির জন্য আপলোড করতে পারবেন এবং আপনি নিজেই সেগুলোর বিক্রির দাম নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। বিক্রি হওয়ার পর আপনার নির্ধারিত দামের ৩০ ভাগ অর্থ রেখে দিয়ে ক্রিয়েটিভ মার্কেট কতৃপক্ষ আপনাকে ৭০ ভাগ টাকা দেবে। তবে আপনি যখন ক্রিয়েটিভ মার্কেটের একজন পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবেন বা আপনার রেফারেন্সে যখন কেউ কোন ডিজাইন কিনবে তখন আপনি আরো ১০ ভাগ এক্সট্ট্রা মানি পাবেন।

এ সাইটের একটা অসাধারণ দিক হচ্ছে, আপনার ডিজাইনের উপর এরা হাত দেবে না। একই ডিজাইন আপনি অন্য সাইটেও বিক্রি করতে পারবেন, এতে তাদের কোন আপত্তি বা রুল নেই। ক্রিয়েটিভ মার্কেটে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ ডিজাইন আপলোড করা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আর প্রতিদিন এখান থেকে গড়ে ১৭০০ ডিজাইন বিক্রি হচ্ছে। এ ডিজাইনগুলো আপনারই মতো কেউ না কেউ করেছে।

ডিজাইন বিক্রির জন্য এ সাইটে আপনাকে জয়েন করতে হবে। জয়েন করা খুবই সহজ। যে কোন ইমেল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে জয়েন করতে পারেন কিংবা আপনার ফেসবুক প্রোপাইল দিয়েও জয়েন করতে পারেন।



YouTube channel:  CreativeMarket

Tuesday, July 16, 2019

How to sell your design?


আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন অথবা ওয়েব ডিজাইনার এবং আপনার করা কোনো একটি প্রজেক্ট আপনার ক্লাইন্ট হয়তো গ্রহন করলো না কি করবেন তখন। অথবা আপনি হয়তো ডিজাইনিং জগতে নতুন এবং এখনও কোনো কাজ খুজে পাননি। তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার করনীয় হচ্ছে আপনার রিজেক্ট হয়ে যাওয়া ডিজাইনটি অথবা নতুনদের ক্ষেত্রে নিজেদের করা ডিজাইনগুলো বিভিন্ন সাইটে টেম্পলেট হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া। নিচে আপনাদের জন্যে সেরকমই বেশ কিছু সাইট দেয়া হল যেখানে আপনি আপনার লোগো থেকে শুরু করে ওয়েব টেম্পলেট সবকিছুই বিক্রি করতে পারবেন।

www.istockphoto.com : – ফটো, ইলুসট্রেসন, ফ্লাস, ভিডিও ইত্যাদি।

www.coswap.com – ডিজাইন বিনিময় করার জন্যে আদর্শ একটি সাইট।

https://glstock.com/ – লোগো, আইকন, ইলুসট্রেসন, টেম্পলেট এবং আরও অনেক কিছুই এখানে বিক্রি করতে পারবেন।
www.vectorstock.com – ভেক্টর স্টক ইমেজ বিক্রি করার সাইট।
https://videohive.net/ – স্টক ভিডিও ফুটেজ এবং মোশান গ্রাফিক্স বিক্রি করার সাইট।
https://themeforest.net/ – ওয়েব ডিজাইন টেম্পলেট এর জন্যে এই সাইট।
https://graphicriver.net/ – ভেক্টর ইমেজ, ফটোশপ ফাইল এবং আরও বিভিন্ন ডিজাইন এর জন্যে পারফেক্ট একটি সাইট।
www.shutterstock.com – ফটোগ্রাফি এবং ভেক্টর ইমেজ এর জন্যে।www.myfonts.com – আপনার তৈরি ফন্ট বিক্রি করার আদর্শ সাইট।
https://cutcaster.com/ – ডিজিটাল ইমেজ, স্টক ভিডিও এবং ভেক্টর গ্রাফিক্স এর জন্যে।
https://templatic.com/ – ওয়েবসাইট টেম্পলেট বিক্রি করার জন্যে।
www.payloadz.com – যে কোনো ধরনের ডিজিটাল ডিজাইন বিক্রি করা যাবে এখানে।
www.threadless.com – এই সাইটে যদি আপনার ডিজাইনটি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় তাহলে এটি বিক্রি হবে।
www.redbubble.com – অয়াল আর্ট, টিশার্ট, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি বিক্রি করার সাইট।

www.imagekind.com – বিভিন্ন ফরম্যাটে আর্টওয়ার্ক বিক্রি করার সাইট এটি।

Monday, July 15, 2019

লোগো ডিজাইন শেখার উপায়


গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে লোগো ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।   অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এর প্রচুর পরিমাণে কাজ পাওয়া যায়।   এসম্পর্কে জানার জন্য আমাদের তৈরী এই ব্লগটি দেখুন: http://logodesignfm.blogspot.com

এছাড়া প্রফেশনাল লোগো ডিজাইন সম্পর্কে ৩২টি ভিডিওসহ ইউটিউবের এই প্লেলিস্টটি দেখুন: Logo Design

লোগো ডিজাইন সংক্রান্ত এই বইসমূহ পড়ুন: 1) LOGO KNOW, 2)  Logo Design Basics 3) The Logo Design Book

এই ব্লগের সকল লোগো সংক্রান্ত পোস্ট দেখানোর জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: Logo Design

Saturday, July 13, 2019

ফ্রিল্যান্সারদের ডিজাইন বিক্রির শীর্ষ ১৩ ওয়েবসাইট


সময়ের জনপ্রিয় পেশা ফ্রিল্যান্সিং। আর এ ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ও ওয়েব ডিজাইনার কিংবা ক্রিয়েটিভ পেশাজীবীদের চাহিদা অনেক। তবে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় ভালো মানের ডিজাইন পছন্দ নাও করতে পারে। আবার অনেক সময় নমুনা (স্যাম্পল) ডিজাইনও করা হয়ে থাকে।এসব বাদ পড়া কিংবা পড়ে থাকা নমুনা ডিজাইনও অনেক সময় মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করা যায়। লোগো, ওয়েব টেমপ্লেট, ফটো ইত্যাদি বিক্রির শীর্ষ ওয়েবসাইটগুলো এড্রেস নীচে দেওয়া হলো:

জিস্টক.কম: সাইটটিতে লোগো, আইকন, ইলাস্ট্রেশন, টেমপ্লেটসহ এ ধরণের ডিজাইন বিক্রি করা যায়। এটি অন্যান্য ওয়েবসাইটের তুলনায় ভালো অর্থ প্রদান করে।
আইস্টকফটো : এখানে ফটো, ইলাস্ট্রেশন, ফ্লাশ, ভিডিওসহ বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়েটিভ কাজ বিক্রি করা যায়।
কোসোয়াপ : সাইটটিতে বিভিন্ন ডিজাইন ও কোডিং কেনাবেচা করা যায়।
ভিডিওহাইভ : এখানে স্টক ভিডিও ফুটেজ ও মোশন গ্রাফিক্স বিক্রি করা যায়।
থিমফরেস্ট : এখানে থিমের পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন টেমপ্লেট বিক্রির নূণ্যতম ৪০ শতাংশ পাওয়া যায়।
গ্রাফিকরিভার : সাইটটিতে ভেক্টর ইমেজ, লেয়ারড ফটোশপ ফাইলসহ বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়েটিভ কাজ বিক্রি করা যায়।
সাটারস্টক : এখানে ফটোগ্রাফি ও ভেক্টর ইমেজের প্রতিটি ডাউনলোডের জন্য .২৫ ডলার আয় করা যায়।
মাইফন্টস : এই অনলাইন ফন্ট সংগ্রহশালায় ফন্ট তৈরি করে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।
কাটকাস্টার ডটকম : এখানে ডিজিটাল ইমেজ, ভেক্টর গ্রাফিক্সসহ স্টক ভিডিও বিক্রি করা যায়।
টেমপ্লেম্যাটিক : সাইটটিতে আপনার করা ওয়েবসাইট টেমপ্লেট আপলোড ও বিক্রি করতে পারবেন।
সিএমএস মার্কেট : এখানে জুমলা এবং ওয়ার্ডপ্রেসের থিম, টেমপ্লেট, এক্সটেনশনসহ ক্রিয়েটিভ কাজগুলো বিক্রি করা যায়।
লিনোটাইপ ডটকম : এই সাইটটি নতুন ফন্ট ডিজাইনারদের জন্য বেশ উপযোগি। এখানে আপনার ফন্ট আপলোড ও বিক্রি করতে পারেন।
প্লেলোডজ: সাইটটিতে নিজের সাজানো অনলাইন স্টোরে আপনার গ্রাফিক্স বিষয়ক কাজ আপলোড ও বিক্রির সঙ্গে সঙ্গেই তার মূল্য পেতে পারেন।

থিম গ্যালাক্সি : এটি একটি প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস থিম মার্কেটপ্লেস। এখানে নতুন থিম ডিজাইনারদেরকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য স্বাগত জানানো হয়।

Friday, July 12, 2019

How to Remove Watermark From Stock Images In Photoshop

(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

Thursday, July 11, 2019

অনলাইনে আয়ের অসামান্য উপায়ঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং


ওবায়েদুল ইসলাম রাব্বি একজন সফল এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজে বেশ বিজ্ঞ তিনি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স সাইট এ্যামাজনের হয়ে কাজ করছেন দুই বছর ধরে। নিজের নিশ সাইটে এ্যামাজনের কোন একটি পণ্যের এ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে দেয়াই তার মূল কাজ। এতে করে তার সাইট হয়ে যারা এ্যামাজনের সাইটে ব্রাউজ করছেন, ওই লিঙ্ক হয়ে ঢুঁ দিচ্ছেন এ্যামাজনে, কেনাবেচা করছেন নতুন কোন পণ্য, তা থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের কমিশন পাচ্ছেন রাব্বি। আর অনলাইনে এই কাজের নামই এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে উন্নত ধাপের এই কাজ করে রাব্বির মাসিক আয় প্রায় ৩ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ২ লাখ ৪০ হাজার। একইভাবে স্পার্ক ডাটা টেক লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাজু আহমেদ তোহাও একজন সফল এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। খাতটিতে যুক্ত হয়ে বর্তমানে তার আয় প্রায় ৪ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ লাখ ২০ হাজার। আর তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা আল-আমিন কবির এই খাতে যুক্ত হয়ে প্রথম বছরে আয় করেছিলেন প্রায় ১ লাখ ডলার! শুধু তাই নয়, একই কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা তাদের একেকটি ওয়েবসাইট বিক্রি করেই ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন। জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে দেশ অর্জন করছে মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অজস্র তরুণের। বর্তমানে খাতটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৩০ হাজার কর্মী, তবে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন ১০ হাজার। যাদের অধিকাংশই ৩ থেকে ৪ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করছেন। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিলিয়ন ডলারের এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দেশে এক অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। দেশের মার্কেটাররা এই খাতে যুক্ত হয়ে তথ্য প্রযুক্তির ফ্রিল্যান্সিং জগতে সূচনা করেছে এক নতুন দিগন্তের।




বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি ও বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার জনকণ্ঠকে বলেন, দেশে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ধারণাটি বেশ নতুন। তবে বেশ কিছু তরুণ এই কাজটি ভালভাবে রপ্ত করতে পেরেছে। তারা মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। এর ব্যাপ্তি বিশ্বজুড়ে, সে তুলনায় আমাদের দেশে এটি দ্রুত প্রসারিত হয়নি। ভালভাবে কাজ করা গেলে, এ খাত থেকে আরও অনেক বেশি আয় করা সম্ভব।


এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কথা হলো এই খাতে কাজ করা বেশ কয়েকজন মার্কেটারের সঙ্গে। তরুণ তথ্য প্রযুক্তি আল-আমিন কবির তাদের একজন। মার্কেটের নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। সফল তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পেয়েছেন বিশেষ পুরস্কার। কবির একজন সফল এ্যাফিলিয়েট মার্কেটারও। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, অনলাইনে আরেকজনের পণ্য কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করাই এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অন্য যে কোন পেশার চেয়ে এই পেশায় আয় বেশি। আগে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতাম, তারা মূলত অন্যের হয়ে কাজ করতাম। এখন এই কাজটি আমরা নিজেরা সরাসরি করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা খুব দক্ষ তারা নিজেরা তাদের একেকটি ওয়েবসাইট ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত বিক্রি করেন। জানা গেছে, কাজ শুরুর প্রথম বছরে আল-আমিন কবির আয় করেছিলেন প্রায় ১ হাজার ডলার! তবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে প্রভাব রাখায় বর্তমানের আয় সম্পর্কে তথ্য জানাতে নারাজ তিনি। 

রাজু আহমেদ তোহাও একজন সফল এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। তিনি স্পার্ক ডাটা টেক লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তার আয় প্রায় ৪ হাজার ডলার। জনকণ্ঠকে তিনি জানান, প্রায় ৩ বছর ধরে তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। ১ বছর আগে গড়ে তোলেন নিজের প্রতিষ্ঠান। পূর্বের ২ বছর কাজ করতেন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে। তোহা জনকণ্ঠকে বলেন, এসিও ছাড়া এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আগে এসিও’র কাজ জানতে হবে। কম্পিউটার সায়েন্সে শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া তোহা আরও বলেন, ‘এই কাজে একজন আমেরিকান যে সুযোগ পান, দেশের মানুষও একই সুবিধা পাচ্ছে। কাজের জন্য প্রয়োজন কেবল উচ্চগতির ইন্টারনেট।’ তার তথ্যমতে, ফেসবুকে আমাজান এ্যাফিলিয়েট বাংলাদেশ গ্রুপে প্রায় ২০ হাজার সদস্য রয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ১০ হাজার সদস্য সক্রিয়ভাবে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছেন।

মাহবুব ওসমানী। বাইক কোডের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট। একইসঙ্গে সফল এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন ৩ বছর ধরে। বর্তমানে তার আয় প্রায় ২ হাজার ডলার। জনকণ্ঠকে জানালেন, অনলাইনে অন্যের পণ্য বা সার্ভিসকে কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়ার প্রক্রিয়াই এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বতর্মানে তিনি এ্যামাজন ও ক্লিক ব্যাংকের হয়ে কাজ করছেন। এই সেক্টরের ভবিষ্যত প্রসঙ্গে জানালেন, এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ খুবই সম্ভাবনাময়। এটি বিলিয়ন ডলারের মার্কেট। তবে এখানে কাজ করতে হলে খুবই অভিজ্ঞ হতে হবে। ঝুঁকি নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। কেউ যদি ইংরেজিতে পারদর্শী হয় এবং কাজ করার ধৈর্য্য থাকে সেই ব্যক্তির সফলতা পেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে দীর্ঘ কথা হয় ওবায়েদুল ইসলাম রাব্বির সঙ্গে। এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি শিক্ষকতা করছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ডিআইপিটিআই)। ফলে তার হাত ধরে নতুনরাও আসছে এই পেশায়। রাব্বির মতে, অনলাইনে কোন কোম্পানির পণ্য মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার প্রক্রিয়াই এ্যফিলিয়েট মার্কেটিং।

রাব্বি বলেন, এই পেশার সঙ্গে আমি ২ বছর ধরে জড়িত। ২০১০ সাল থেকে এসইও’র কাজ করতাম। নতুন কাউকে এ্যামাজনে কাজ করতে হলে প্রথমেই তাকে এসইও’র কাজে দক্ষ হতে হবে। আমি এসইও’তে বেশ দক্ষ ছিলাম। যেহেতু আগে থেকে এই কাজ জানা ছিল তাই আমার বেশি সময় লাগেনি। ২ মাসেই সমস্ত কাজ রপ্ত করতে পেরেছি। যদি নতুন কেউ এই খাতে আসে, এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বুঝতে তার সর্বোচ্চ ১ মাস লাগবে। তবে উপার্জন করতে সর্বোচ্চ ৬ মাস লাগতে পারে। এক্ষেত্রে তাকে প্রতিনিয়ত আপডেট থাকতে হবে, বেশি বেশি আর্টিকেল পড়তে হবে; একই সঙ্গে পড়তে হবে এ্যাফিলিয়েট সম্পর্কিত ব্লগ। ধীরে ধীরে এসইও’তে দক্ষ হয়ে উঠতে পারলে, তবেই সে সফল হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একটি বিশাল খাত। বিলিয়ন ডলারের মার্কেট। এখানে নতুন যারা আসবে তাদের কয়েকটি বিষয় জানতে হবে। এসইও, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, গ্রাফিক্স, ওয়েভ ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত ধারণা, কন্টেন্ট রাইট করার মতো দক্ষতা বা আর্টিকেল লেখার মতো কাজ জানতে হবে। তবেই সে সফল হবে। যদি এর কোন একটি কাজ কেউ নাও জানে তাতেও সে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে না জানা কাজটি অন্য কাউকে দিয়ে আউট সোর্সিং করিয়ে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই কাজের জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট ও নিশ ওয়েবসাইট লাগবে। কাজ করার ক্ষেত্রে থাকতে হবে ধৈর্য্য এবং হতে হবে পরিশ্রমী। প্রথম ৬ মাসে কোনক্রমেই হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ কোন কোন ক্ষেত্রে ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা প্রয়োজন আছে কি-না এমন প্রশ্নে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার রাব্বি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। তবে তাদের করণীয় একটিই। আরও উচ্চগতির ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধি করতে হবে, তবেই কাজ করা আরও সহজ হবে। তিনি জানালেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে টাকা ওঠানোর মাধ্যম প্যাপল হলেও এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের টাকা আসার মাধ্যম পেওনিয়ার, যা সরকার অনুমোদিত ও বৈধ।

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ॥ এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ওবায়েদুল ইসলাম রাব্বির মতে, অনলাইনে কোন কোম্পানির পণ্য মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার প্রক্রিয়াই এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এটি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে উন্নত ধাপ। মাহবুব ওসমানীর মতে, অনলাইনে অন্যের পণ্য বা সার্ভিসকে কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়ার প্রক্রিয়াই এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। রাজু আহমেদ তোহার মতে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) ছাড়া এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা অসম্ভব। অর্থাৎ এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আগে এসিও’র কাজ জানতে হবে। আরও ব্যাখ্যা করে বললে এভাবে বলা যায়, কোন একটি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটে পণ্যের এ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে দেয়। ওই লিঙ্ক হয়ে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে পণ্যটি ক্রয় করলে লিঙ্ক যুক্ত করা ব্যক্তিটি অর্থাৎ এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকেন। আর এই প্রক্রিয়াকে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। যেহেতু বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এ্যামাজন এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তাই এ্যামাজন এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এভাবে বলা যায়, নিজের নিশ সাইটে এ্যামাজনের কোন একটি পণ্যের এ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে পণ্যটির ক্রয়-বিক্রয় থেকে কমিশন প্রাপ্তির প্রক্রিয়াই এ্যামাজন এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

এ্যামাজন এ্যাফেলিয়েট মার্কেটিংয়ের ৪ প্রক্রিয়া ॥ মার্কেটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছেÑ সোশ্যাল সাইটে লিঙ্ক শেয়ার, ল্যান্ডিং পেজ তৈরি, ব্লগ সাইট তৈরি করে ও ওয়েবসাইট তৈরি করে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। তবে এই চার উপায়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ ও উৎকৃষ্ট পদ্ধতি হচ্ছেÑ ওয়েবসাইট তৈরির কাজ। কয়েকজন মার্কেটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের অধিকাংশ মার্কেটারই এ্যামাজনের হয়ে কাজ করেন। এ্যামাজন এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ওবায়েদুল ইসলাম রাব্বির মতে, এ্যামাজনের হয়ে কাজ করতে হলে প্রথমেই এ্যামাজনের কোন পণের প্রচার ও প্রসারে উদ্দেশ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সেখানে মার্কেটার কোন পণ্য নিয়ে কাজ করতে চায় তা সিলেক্ট করতে হবে। একই সঙ্গে পণ্যটির বর্ণনা দিতে হবে পরিপূর্ণরূপে। আর ঠিক তখনই নতুন ওয়েবসাইটে নিশ সাইট হিসেবে কাজ করবে। সাধারণত একটি নিশ সাইটে প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা কন্টেন্ট থাকে। নিশ সাইটের জন্য যা দরকার সেগুলো হলোÑ কিওয়ার্ড রিসার্চ, একটি ডোমেইন বা নাম নির্বাচন ও হোস্টিং সেট আপ, ওয়েবসাইট তৈরি (ওয়ার্ডপ্রেসই শ্রেয়), মানসম্মত কন্টেন্ট, ভাল মানের ব্যাকলিঙ্ক বিল্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, প্রয়োজনীয় পেজ সেট আপ ও কাক্সিক্ষত কনভার্সন রেট।

মার্কেট প্লেস ॥ এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বেশি কিছু মার্কেট প্লেস রয়েছে। প্রচলিত মার্কেট প্লেসের মধ্যে রয়েছেÑ এ্যামাজন এ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, ক্লিক ব্যাংক, ক্লিক শিওর, ক্লিক টু সেল, অফার ভোল্ট, জেবিজু, লাইভ স্টিমিং, সিপিএ এম্পায়ার, শেয়ার এ সেল, কমিশন জাংশন। তবে দেশীয় এ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের মতে, এ্যামাজন এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংÑই সেরা। কেননা ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে এ্যামাজন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এখানে বছরের পর বছর ধরে হাজারো পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ, এ্যামাজন সাইটটি আমেরিকানদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত। শতকরা ৮০ ভাগ আমেরিকানের এ্যামাজনে এ্যাকাউন্ট রয়েছে। তারা নিয়মিত এ্যামজন থেকে কোন না কোন পণ্য কিনে থাকেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ্যামাজন থেকে প্রতি মিনিটে ৮৬ হাজার ডলারের পণ্য কেনাবেচা হয়। বিশ্বের ২ মিলিয়ন মার্কেটার এখানে কাজ করে। বর্তমানে এর ইউজার সংখ্যা ৩০০ মিলিয়ন। এই পরিমাণ বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

আয় ॥ অনলাইনে কাজের কোন খাতেই আয় নির্ধারিত নয়। মূলত কাজের উপর আয় নির্ভর করে। যার যত দক্ষতা তার আয় তত বেশি। এসইও’র কাজ জানা আছে এমন নতুন এ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা এই পেশায় যুক্ত হয়ে মাসে ৩০০ ডলার আয় করতে পারবেন।

নতুনরা কোথায় শিখবে ॥ দেশের বহু সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সম্প্রতি কেউ কেউ অনলাইনেও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তবে নতুনরা যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেয়ার আগে গুগল থেকে ধারণা নেয়া উচিত। ইউটিউবের টিউটিরায়লগুলো ভাল করে রপ্ত করলে কাজ শেখা সহজ হবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মার্কেটাররা।

সামগ্রিক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি ও বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার জনকণ্ঠকে বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ৪ হাজার ৮০০ ধরনের কাজের মধ্যে এটি একটি। এর বাজার বিস্তৃত। তবে দেশে এটি দ্রুত প্রসারিত হয়নি। ২ বছর ধরে দেখে আসছি, এখানে যারা কাজ করছে তারাই কাজ করছে। নতুনরা তেমভাবে আসছে না। আমার মতে, খাতটিতে ব্যবসায়িক জ্ঞানের প্রসারের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে কিছু করা যেতে পারে। স্বতন্ত্রভাবে অনেকেই এখানে আউটসোর্সিং করছে। তার যদি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে তবে আয়টা আরও ভাল হবে। একই সঙ্গে দেশ অর্জন করতে পারে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা।
- এমদাদুল হক তুহিন ॥ 

Sunday, July 7, 2019

How to mock-up a logo?

(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)


কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের চক্ষু সমস্যার সমাধান


চাকরি সূত্রে কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিনই আজকাল প্রায় সবাইকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আর তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে মনিটরের দিকে। কম্পিউটার মনিটরের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে কাজ করার কারণে চোখের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখের এ সকল সমস্যা ও উপসর্গকে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম বলে। গবেষণায় জানা গেছে, যারা প্রতিদিন কম্পিউটারে কাজ করে, তাদের ৮৮ শতাংশ মানুষ কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম বা সিভিএস দ্বারা আক্রান্ত।

কম্পিউটারজনিত চক্ষু সমস্যাগুলো হলো
দৃষ্টি স্বল্পতা, চোখ জ্বালা-পোড়া করা, চোখ ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা ও চোখে আলো অসহ্য লাগা। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে শতকরা ২৫ থেকে ৯৩ ভাগ বিভিন্ন চক্ষু সমস্যায় ভোগেন। দৃষ্টি স্বল্পতা থাকলে অনেকক্ষণ চক্ষু ব্যবহারে চোখের মাংসপেশী অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যারা কাছে কম দেখেন তাদের একমোডেশন বেশি করতে হয়। এতে চোখের মাংসপেশী সংকুচিত হয় এবং মাংস- পেশীর উপর বেশি চাপ পড়ে। যে কারণে চোখ ও মাথা ব্যথা করে। চোখের পলকের মাধ্যমে চোখের পানি চোখের উপরিভাগে কর্ণিয়া ও কনজাংটিভাতে ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে মিনিটে ১২-১৪ বার চোখের পলক পড়ে। কিন্তু কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মিনিটে মাত্র ৪-৫ বার পলক পড়ে। এতে করে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের চোখের পানি ঠিকমত চোখের উপরিভাগে কর্ণিয়া ও কনজাংটিভাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে না। চোখের পানি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়। এতে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চোখ জ্বালা-পোড়া করে ও চোখে ব্যথা হয়। কখনো কখনো চোখের কর্ণিয়াতে প্রদাহ হয়।

এ সমস্যা প্রশমনে করনীয়
মনিটর ব্যবহারের সময় চোখের লেভেল মনিটর থেকে ৪ ইঞ্চি-৮ ইঞ্চি নিচে এবং ২০ ইঞ্চি-২৮ ইঞ্চি দূরে থাকতে হবে। আর মনিটরটা সামান্য উপর দিকে রাখতে হবে।মনিটরের উজ্জ্বলতা এবং কনট্র্যাস্ট লেভেল চোখের সহনীয় পর্যায়ে রাখা উচিত। বর্ণের আকার যতটা সম্ভব বড় রাখতে হবে এবং কম্পিউটার স্ক্রিনের ব্যাকগ্রাউন্ডের রং চোখের পক্ষে আরামদায়ক হওয়া উচিত। বেশি উঁচুতে কম্পিউটার মনিটর স্থাপন করা উচিত নয়। কম্পিউটার মনিটর এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে মনিটরের উপরিভাগ ও চোখ একই সমতলে থাকে। চোখের পলকঃ চোখের পলক স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ১২-১৪ বার পড়ে। কম্পিউটারে কাজ করার সময় ঘন ঘন চোখের পলক ফেলা একটা ভালো উপায়।

আলোর পরিমাণ
ঘরের আলো এমনভাবে রাখতে হবে যাতে সেই আলো সরাসরি মনিটর বা চোখের ওপর এসে প্রতিফলিত না হয়। তাই কম্পিউটারটি লাইটের বিপরীত স্থানে স্থাপন করা উচিত।

২০ নিয়ম
কম্পিউটার ব্যবহার করার সময়, প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ২০ ফুট দূরের কোন জিনিসের দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে হবে। প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর ২০ সেকেন্ডের জন্য চোখ বন্ধ রাখলেও একই রকম ফল পাওয়া যায়। এ অনুশীলনটি কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার সময় চোখে আরামদায়ক অনুভূতি বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

কি-বোর্ড
কি-বোর্ড হাতে রপ্ত হলে ভালো। কিন্তু রপ্ত না হলে কি-বোর্ডকে মনিটরের যতটা সম্ভব কাছে রাখতে হবে যাতে মনিটর থেকে কি-বোর্ডে চোখের মুভমেন্ট কম হয়।

কম্পিউটার গ্লাস
কম্পিউটারে যারা কাজ করে থাকেন তাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে এ গ্লাস। এটা চোখে অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলো, প্রতিফলন পড়া থেকে রক্ষা করবে আর আপনার চোখকে রাখবে শীথিল। তাই চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করতে কম্পিউটার গ্লাস ব্যবহার করা ভালো।

বিরতি

কম্পিউটারে কাজ করার সময় একটানা কাজ করা কখনই ভালো নয়। এজন্য কিছু সময় পর পর বিরতি নেয়া উচিত। এসময় কম্পিউটার থেকে দূরে গিয়ে, চা খেয়ে, গল্প করে, কখনও মুখে ও চোখে পানির ঝাঁপটা দিয়ে, আবার কখনও চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নেয়া উচিত।

How to make a Realistic T-Shirt Mockup | Photoshop Tutorial in Bangla |

Friday, July 5, 2019

45 Most Creative Logo Design

যারা লোগো ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের নানা প্রকার লোগো দেখা এবং বুঝা দরকার। তাতে নিজের ডিজাইন তৈরীর আইডিয়া তৈরী হবে। এই ভিডিওতে সেরা কিছু লোগো দেয়া হল। মনোযোগ সহকারে বড় ভিউতে দেখুন। 

Wednesday, July 3, 2019

টাইপোগ্রাফির গুরুত্ব ও টিউটোরিয়াল


একজন ভালো মানের গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে Photoshop & Illustrator এ দক্ষ হলেই হবে না, ডিজাইনের কিছু বেসিক নিয়ম জানতে হবে। এর একটি হলো- ★টাইপোগ্রাফি (Typography)
টাইপোগ্রাফি যেকোন ডিজাইনের প্রাণ বলতে পারেন। ভালো টাইপোগ্রাফি ছাড়া ভালো ডিজাইন কল্পনাই করা যায় না। গুগলে সার্চ করে টাইপোগ্রাফি এর উপর অনেক অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন। সেগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখুন।
এটাও দেখুনঃ 50 top typography tutorials: https://www.creativebloq.com/graphic-design-tips/typography-tutorials-1232719

Monday, July 1, 2019

টিস্প্রিং: ডিজাইনারদের নতুন গন্তব্য


দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি খাত পোশাক শিল্প। প্রযুক্তির লাগসই ব্যবহারে ক্রমেই মেধানির্ভর হয়ে পড়ছে শ্রমঘন এই শিল্প খাতটি। আর পোশাক খাত বিশেষ করে টিশার্ট ডিজাইনারদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস 'টিস্প্রিং'। ঘরে বসে টিশার্ট ডিজাইন করে অর্থ আয়ের সুযোগ দিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। টিস্প্রিং বিশ্বজুড়ে টিশার্টপ্রিয়দের কাঙ্ক্ষিত পোর্টাল হয়ে উঠেছে। চলতি বছরে এখানে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও ৫০ ধরনের পোশাক। ফলে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুকদের জন্য ওয়েবসাইটটি হতে পারে নতুন গন্তব্য। 

টিস্প্রি্রং কী
একটা সময় ছিল যখন অনলাইনে টি-শার্ট সেল করাটা খুব সহজ বিষয় ছিল না। এটা করার জন্য নানা আয়োজন করে একটি দোকান খুলতে হতো। কিন্তু ২০১৫ সালে এসে বিষয়টি খুব সহজ হয়ে গেছে। কেননা ওই বছরের মার্চ মাস থেকে টিস্প্রিংয়ে কাজ শুরু করে বাংলাদেশের মুক্ত পেশাজীবীরা। এই প্ল্যাটফর্মটি তাদের কাছে পরিচিত করে তোলেন ২০১৪ সাল থেকে এই মার্কেটপ্লেসের সঙ্গে যুক্ত হন মুক্ত পেশাজীবী জাফর হোসেন। জাফি নামে পরিচিত জাফি বর্তমানে টি স্প্রিংয়ের বাংলাদেশস্থ শুভেচ্ছা দূত এবং ইন্টারন্যাশনাল মেন্টর। তিনি জানান, টি স্প্রিং এমন একটি সহজ অনলাইন আয়ের উৎস, যেখানে অর্থ আয়ে ফ্রিল্যান্সারদের ঝামেলা পোহাতে হয় না। নিজের ডিজাইন করা টি-শার্ট টি ম্প্রিং ওয়েবসাইটে বিক্রয় করে আয় করতে পারেন ফ্রিল্যান্সাররা। এজন্য টি স্প্রিং ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি আপনার ডিজাইনের টি-শার্ট আপলোড করবেন এবং সেই টি-শার্টটি কতটা বিক্রি করতে চান সেটার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেবেন। অর্থাৎ এখানে আয় করতে নিজস্ব ডোমেইন, হোস্টিং কিংবা ট্রাকিং ব্যয় প্রয়োজন নেই। শুধু মেধা, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকলেই চলবে। আপনি হয়ত টিশার্টটি ডিজাইন করে মার্কেটপ্লেসটিতে দিয়েছেন। ওই ডিজাইন বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি হয়ত পছন্দ করল। ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ডিজাইন পছন্দ করে টিস্প্রিং ওয়েবে অর্ডার করলে ট্রিস্প্রিং কর্তৃপক্ষ তা রীতিমত বানিয়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়। এর ফলে আয়কৃত অর্থের একটা অংশ পায় সংশ্লিষ্ট ডিজাইনার। এখানে ফ্রিল্যান্সারের শুধু ডিজাইন আপলোড এবং সেই টি-শার্টটি বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় মার্কেটিং করতে হবে। আর এ মার্কেটিংয়ে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করলেই চলবে। 

বাংলাদেশে টিস্প্রিং
বিশ্ববাজারে ২০১১ সালে ই-কমার্স সাইট হিসেবে যাত্রা শুরু করে ট্রি স্প্রিং। তবে ক্রাউড সোর্সিং সুবিধায় ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে। আর বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা এখানে কাজ শুরু করে পরের বছরই। এখন এই ক্রাউড সোর্সিং ভেলার মাঝি হয়ে ঘরে বসে পোশাক শিল্পের রফতানি আয়কে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে তরুণ মুক্ত পেশাজীবীরা। দীর্ঘদিন ধরেই না বুঝে দেশের যেসব তরুণ মার্কেটিংয়ের নামে পর্নো সাইটে কাজ করছিলেন তাদের জন্য এটি একটি আয়ের বসন্ত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কেননা এদের কিছু অংশ যাচ্ছিলেন গ্যামবি্লং বা জুয়া প্রমোশনের দিকে। অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রতারিত একটা বড় সংখ্যক বাংলাদেশি তরুণ এখন চাইলেই অনলাইন থেকে মর্যাদার সঙ্গে আয় করতে পারছেন। টি স্প্রিংয়ে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুকে প্রতিষ্ঠানটির একটি গ্রুপ পেজ রয়েছে। টি স্প্রিং বিডি নামের এই পেজে গিয়ে যে কেউ দোকান খুলে নিজের মতো করে মার্কিন মুল্লুকে ব্যবসায় করতে পারে। ফ্রি এবং পেইড ট্রাফিক উভয় পদ্ধতিতেই কাজ করা যায় এখানে। ইতিমধ্যেই এই গ্রুপে তাদের ২৫ হাজারের মতো সদস্য রয়েছেন। ২৮ হাজারের মতো বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের এখানে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। মার্কেটপ্লেসটিতে কাজ করে আয় সহজেই পেয়োনিয়রের মাধ্যমে দেশের যে কোনো ব্যাংকে আনা যায়। এই মাধ্যমটিতে কাজ করে অনেক শিক্ষার্থীই এখন মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার ডলার আয় করছে। এই আয়কে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করতে কাজ করছে টি-স্প্রিং বাংলাদেশ অধ্যায়।
টিস্প্রিং থেকে আয় করবেন যেভাবে
টি স্প্রিং থেকে আয় করতে হলে প্রথবে ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে করার পরে লগইন করে ছবি অনুযায়ী ক্লিক করলে একটা সাদা রঙের টি-শার্ট দেখা যাবে। এখানেই টি-শার্ট ডিজাইন করতে হবে। এখানে অবশ্য কয়েক রকমের টি-শার্ট বানানোর অপশন আছে তাই যে টি-শার্টটি বানাতে ইচ্ছুক সেটা সিলেক্ট করুন। টি-শার্টটির ডান পাশে আছে লং স্লিভ শার্ট, হুডিস, টপস ইত্যাদি। এখানে পছন্দমতো কালার, ফন্ট এবং আর্টওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। টি-শার্ট ডিজাইন সম্পন্ন হলে কত সংখ্যক বিক্রি করা যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন উল্লেখ করে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। এ পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে টি-শার্টের দাম। তবে দাম নিজ থেকে নিধারণ না করাই ভালো; স্বয়ংক্রিয়ভাবে টি-স্প্রিংয়ে যেটা আসে সেটাই থাকুক। এরপর আপনি যে কালারের টি-শার্ট বানিয়েছেন সেটার সঙ্গে অন্য কালারের একই ডিজাইনের টি-শার্ট বিক্রির জন্য অপশন যোগ করে দিতে পারেন। তৃতীয় ধাপে টি-শার্টটির জন্য সঠিকভাবে নাম দিতে হবে এবং একটি সুন্দর বর্ণনা লিখতে হবে। টি-শার্টটি ক'দিনের জন্য ক্রয়ের উপযুক্ত থাকবে সেটা নির্ধারণ করে দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টি-শার্ট বিক্রি হলে টি-শার্টটি প্রিন্ট করে কাস্টমারের কাছে পেঁৗছে দেওয়া হবে। আপনি আপনার নির্ধারিত প্রাপ্য কমিশন অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। ট্রি স্প্রিংয়ের সফলাতার মূলমন্ত্র হচ্ছে, অন্য যে কোনো মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের মতোই এখানেও আপনার টার্গেট ক্রেতা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। সম্ভাব্য ক্রেতা সম্পর্কে যত ভালোভাবে জানবেন তাদের জন্য টি-শার্ট ডিজাইন করা তত সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য। টি-শার্ট লোকে কেন কেনে এবং কোন কোন বিষয় একজন ক্রেতাকে টি-শার্টটি দেখামাত্রই তা কিনতে উদ্বুদ্ধ করে, এটা বুঝতে পারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমেরিকান প্রমিন্যান্ট ব্র্যান্ডের একটি এখন টিস্প্রিং। শুধু টি-শার্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। মার্কেটপ্লেসটিতে ২০১৭ সালে মোট ৫০টি পণ্য যুক্ত হবে। যে কেউ চাইলে বাংলাদেশে বসে, আমেরিকায় নিজের পছন্দের নামের ব্র্যান্ড শপ খুলে পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারে। শপিংয়ের কোনো ঝামেলায় যাওয়া লাগবে না।

- ইমদাদুল হক